মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক শ্রেণীর সুবিধাভোগীচক্র মৎস্য আইনের নীতিমালা লংঘন করে বাসকা বিল সেচে (তলা শুকিয়ে) মাছ ধরার কারনে নষ্ট হচ্ছে হাওরের এক হাজার একর বোরো ফসল। যার কারণে ইতিমধ্যেই পানি সংকটের কবলে হাজারো একর বোরো ফসল বিনষ্টের দিকে চলে যাচ্ছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায় বাসকা বিলে মেশিন লাগিয়ে সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ কামরুল ইসলামগংরা এই জলমহালটি লিজ নিয়ে ভাসমান অবস্থান মৎস্য আহরণের কথা থাকলেও মৎস্য আইন অমান্য করে এই অঞ্চলের হাজারো কৃষকের রোপনকৃত বোরো জমিতে সেচের ব্যবস্থা নষ্ট করে পেশীশক্তির জোরে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কথায় আছে না চোর না শুনে দর্মের কাহিনী সে কৃষকদের আহাজারিতে কর্ণপাত না করেই এমন কাজটি করছে বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ। সে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বিলের পাড়ে অবস্থান নিয়ে বিলটি সেচে মৎস্য আহরণের জন্য বিলের পানি কৃষকের জমিতে না দিয়ে অন্যত্র ফেলে দিচ্ছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ন্য বাসকা বিলটি লিজ নেন জামালগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের সাবেক এই ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম। তিনি গত কয়েকদিন ধরে বিলটি শুকিয়ে মাছ আহরণ করার জন্য বিলটিতে ৩টি সেচ পাম্প মেশিন লাগিয়ে বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করছেন। তিনি মেশিন দিয়ে বিলের পানি শুকিয়ে অন্যত্র ফেলে দিলেও পাশে কৃষকদের জমিতে পানি না দিয়ে হাওরের বাহিরে ফেলে দিচ্ছেন। যার ফলে কৃষকের বোরো ফসল এবার পানি সংকটের কারণে কৃষকদের এই কষ্টার্জিত একমাত্র অবলম্বন বোরো ফসল বিনষ্ট দিকে চলে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাসকা বিলের ইজারাদার মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিলটি খননের উদ্দেশ্যেই মূলত মেশিন লাগিয়ে জলমহালটি শুকানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আল ইমরান জানান, কেহ বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণের চেষ্টা করলে একদিকে যেমন কৃষকদের সর্বনাশ হবে। অন্যদিকে মৎস্য আইন অমান্যকারী হিসেবে তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।